মহানগর আ’লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডি এ বাবুল রানা বলেছেন, ক্ষণজন্মা বঙ্গবন্ধু ৫৫ বছরের জীবনে ১৩ বছরই অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য কারাগারে ছিলেন। তিনি বাংলার মাটি ও মানুষকে অসম্ভব ভাল বাসতেন এবং মানুষের মনের কথা বুঝতে পারতেন বলেই তিনি জাতির পিতা হতে পেরেছিলেন। বঙ্গবন্ধু দেশ ও মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন, স্বপ্ন পূরনে সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি যে ধারা চালু করেছিলেন, পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর তা উল্টোপথে চলা শুরু করে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কজনক অধ্যায় আগস্ট মাস। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে গভীর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে তিনি নেতা-কর্মীদের প্রতি আহŸান জানান। 
মঙ্গলবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে শোকাবহ ১৫ আগস্ট উপলক্ষে মহানগর কৃষক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়ায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। 
নগর কৃষক লীগের আহবায়ক এড. একেএম শাহজাহান কচি’র সভাপতিত্বে সভায় বক্তৃতা করেন নগর আ’লীগ দপ্তর সম্পাদক মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক  মোঃ মফিদুল ইসলাম টুটুল, শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ, নগর কৃষক লীগের সদস্য মোঃ রাজু আহমেদ ও কানাই রায়। 
নগর কৃষক লীগের সদস্য সচিব অধ্যাপক এবিএম আদেল মুকুলের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মাহফুজুল হক, মোঃ মোস্তাকিম লালু, মোঃ রফিকুল ইসলাম ডাবলু, মোঃ আইউব আলী, আলমগীর মলি­ক, মোঃ শহীদুল হাসান, অধ্যাপক প্রশান্ত গাইন, শেখ হারুন মানু, মনিরুল ইসলাম গাজী, মোঃ রেজোয়ান আকুঞ্জি রাজা, এস এম শাহিদুল ইসলাম টিটু, শেখ আবু বক্কর সিদ্দিকী বাবুল, অনিক রায়, মোঃ আবু নাঈম, মুরাদুল ইসলাম খলিফা, মোল­া মোঃ সেলিম, শেখ আকরাম হোসেন, কাজী আবু আল সৌদ, রেজা দারিয়া, মোক্তার হোসেন, লুৎফর রহমান, বাবুল হোসেন, আবু হাসান, হাবিবুর রহমান, সেজান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। 
আলোচনা সভা শেষে শোকাবহ ১৫ আগস্টে শাহাদাৎবরণকারী সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মুফতি রফিকুল ইসলাম।