খুলনা | শুক্রবার | ০৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১

শেষ টি-টোয়েন্টিতেও বাংলাদেশের দাপট

অস্ট্রেলিয়াকে লজ্জায় ডুবিয়েই সিরিজ টাইগারদের

ক্রীড়া প্রতিবেদক |
০১:০৬ এ.এম | ১০ অগাস্ট ২০২১

সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সফরকারী অস্ট্রেলিয়াকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ৬২ রানেই অল আউট করে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ টাইগাররা জিতে নিয়েছে ৬০ রানে। বাংলাদেশের করা ১২২ রানের জবাবে খেলতে নেমে অস্ট্রেলিয়া অল আউট হলো নিজেদের সর্বনিম্ন ইনিংসের লজ্জায়। গতকাল সোমবার মিরপুর শের এ বাংলা স্টেডিয়ামে শেষ ম্যাচে টাইগারদের দারুণ এ জয়ে স্বাগতিকরা সিরিজ জিতে নিলো ৪-১ ব্যবধানে। পাঁচ ম্যাচের এই সিরিজে শুধুমাত্র চতুর্থ ম্যাচটি জিততে পেরেছিলো বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম মোড়ল দাবিদার অস্ট্রেলিয়া। দারুণ বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেয়া সাকিব আল হাসান জিতে নেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। সিরিজ সেরার পুরস্কারও যায় তার পকেটে। 
মূলতঃ সাকিব আল হাসান আর নাসুম আহমেদের স্পিন বিষেই নীল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচে এক ওভারে ৩০ রান দেয়া সাকিব এদিন ফিরলেন একেবারেই রাজকীয় বেশে। ৩.৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ধসিয়ে দেয়ার নায়ক তিনিই। ৪ উইকেট নেওয়ার পথে অনন্য এক কীর্তিও গড়ে ফেলেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ১ হাজার রান ও ১০০ উইকেটের রেকর্ড গড়েন তিনি। শরীফুলের পরিবর্তে প্রথমবারের মতো সিরিজে খেলতে নামা পেসার সাইফুদ্দিন আহমেদও ছিলেন দুর্দান্ত। ৩ ওভারে ১২ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। প্রতিপক্ষকে আঘাতে শুরু করা নাসুম আহমেদ ২ উইকেট নিয়ে জয়ে দারুণ ভূমিকা রাখেন। পুরো সিরিজে দারুণ পারফর্ম করা মোস্তাফিজকে এদিন ব্যবহার করার সুযোগই পাননি অধিনায়ক মাহমুদুল­াহ। এক ওভার বল করে ৩ রান দিয়েছিলেন তিনি। 
বাংলাদেশের পুঁজি ছিল মাত্র ১২২ রানের। তবে এই উইকেটে এই রানটাও যে পাহাড়সমান, সেটা হারে হারেই টের পেল অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানে শেষ ৭ উইকেট হারায় তারা। ১২৩ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়াকে শুরু থেকেই চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। ১৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারায় ম্যাথু ওয়েডের দল। দু’টি উইকেটই নেন নাসুম আহমেদ। পুরো ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটস্যামনদের যাওয়া আসার ভিড়ে যা একটু লড়াই করেছেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। সর্বোচ্চ ২২ রান করেন তিনি। আর ১৭ রান আসে ম্যাক ডেমার্টের ব্যাট থেকে। 
এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ ব্যাট হাতে আলো ছড়াতে পারেনি। এদিন ব্যাটিংয়ের উদ্বোধন করেন শেখ মেহেদী হাসান ও নাঈম শেখ। ৪.৩ ওভারে ৪২ রান এনে দেয় উদ্বোধনী জুটি। মেহেদী ১২ বলে ১৩ রান করে ফিরলেও নাঈম দিচ্ছিলেন ইনিংস বড় করার ইঙ্গিত। ওয়ান ডাউনে নেমে সাকিব আল হাসান এদিনও ছন্দে ছিলেন না। ২০ বল মোকাবেলা করে সাজঘরে ফেরার আগে করেন মাত্র ১১ রান। তার আগে অবশ্য বিদায় নেন নাঈম, একটি করে চার-ছক্কায় ২৩ বলে ২৩ রান করে। সমালোচনার মুখে থাকা সৌম্য সরকার চার নম্বরে নেমে শ¬থ শুরু করে। ১৪ বলে ১৯ রান করে অধিনায়ক মাহমুদউল­¬াহ রিয়াদ বিদায় নেওয়ার পর মারমুখী ব্যাটিংয়ের চেষ্টা করেন সৌম্য। তবে একটি করে চার-ছক্কা হাঁকালেও ১৮ বলে ১৬ রান করে ফেরেন সাজঘরে, সিরিজে নিজের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলে।
এরপর নুরুল হাসান সোহানের ১৩ বলে ৮, আফিফ হোসেন ধ্র“বর ১১ বলে ১০ এবং একাদশে ফেরা মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের ৯ বলে ৫ রানের ইনিংস বাংলাদেশকে এনে দেয় স্বল্প পুঁজি। অতিরিক্ত খাতে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৮ রান। ১৫ ওভারে ১০২ রান জড়ো করা বাংলাদেশ ¯¬গ ওভারে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেনি। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২২ রান। অজিদের পক্ষে নাথান এলিস ও ড্যান ক্রিশ্চিয়ান দু’টি করে উইকেট শিকার করেন। 

প্রিন্ট

আরও খবর