খুলনা | শুক্রবার | ০৯ মে ২০২৫ | ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব পরিচয়ে পাইকগাছায় অর্থ হাতিয়ে নেয়ায় লালমনিরহাট থেকে প্রতারক গ্রেফতার

পাইকগাছা প্রতিনিধি |
০৫:২৯ পি.এম | ০৯ অগাস্ট ২০২১

খুলনার পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক চিকিৎসকের নিকট থেকে ভুয়া অতিরিক্ত স্বাস্থ্য সচিব পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে থানা পুলিশ এক প্রতারককে গ্রেফতার করেছে। থানা পুলিশ লালমনিরহাট জেলার কালীগঞ্জ থানার সহযোগীতায় কাকিলা নামকস্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আ জ ম সামছুদ্দীন মাসুদ (৩৮) রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানার জীবনপুর গ্রামের মৃত তাজুল ইসলামের ছেলে। এঘটনায় থানায় প্রথমে সাধারন ডায়েরী এবং পরে মামলা হয়।  

থানার মামলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়ার কনসালটেন্ট (গাইনী এ্যান্ড অবস্) ডাঃ সুজন কুমার সরকার বলেন, অপরিচিত একটি নম্বর থেকে খুলনার সিভিল সার্জন ও পাইকগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে স্বাস্থ্য বিভাগের এডিশনাল সেক্রেটারি নাজমুল হক পরিচয় দিয়ে চাকুরির বিভিন্ন ক্ষতি ও নানান ভয়ভীতি দেখিয়ে ১৭ জুন ৫০ হাজার টাকা দাবী করে। এক পর্যায়ে ডাঃ সুজন সরকার ৩৩ হাজার টাকা একটি নম্বরে বিকাশ করেন। বিকাশ হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হতে উক্ত নম্বারের ফোন করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ সময় সন্দেহ হয় তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ঘটনাটি পাইকগাছা থানার ওসিকে জানিয়ে থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই সুকান্ত কুমার জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতারকের সন্ধান ও প্রমান পেয়ে এস আই তাকবীর হোসেন ও এএসআই নাজমুল হোসেনকে সাথে নিয়ে অভিযান পরিচালনা করে লালমনির হাট জেলার কালিগঞ্জ থানার সহায়তায় প্রতারক সামছুদ্দীন মাসুদকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পীরগঞ্জ থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করে বিকাশ প্রতারনা চক্রের সাথে জড়িতদের সনাক্তপুর্বক গ্রেফতার জোর চেষ্ঠা অব্যহত আছে বলে পুলিশের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন। গ্রেফতারকৃতকে রবিবার রাত ৮ টার দিকে পাইকগাছা থানায় আনা হয়।

থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এজাজ শফী জানান, অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে খুলনা পুলিশ সুপার এর নির্দেশে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো জানান, সোমবার আইনি প্রক্রিয়ায় তাকে পাইকগাছার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরন করা হলে বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আসামী মাসুদ কে জেল হাজতে প্রেরন করেন।

প্রিন্ট

আরও খবর