খুলনা | মঙ্গলবার | ০১ জুলাই ২০২৫ | ১৭ আষাঢ় ১৪৩২

পাকিস্তানে অভিজাত হোটেলের সামনে বিস্ফোরণ, নিহত ২ পুলিশ

খবর প্রতিবেদন |
০৪:০১ পি.এম | ০৯ অগাস্ট ২০২১

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের রাজধানী কোয়েটার অভিজাত হোটেল সিরিনার সামনে শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়েছে ২ পুলিশ সদস্যের। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন আরও ৮ পুলিশসহ মোট ১২ জন।

রোববার হোটেলটির সংলগ্ন তানজিম স্কয়ারে অপেক্ষমাণ একটি পুলিশ ভ্যানের কাছে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক সরকারের মুখপাত্র লিয়াকত শাহওয়ানি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই ভ্যানটির পাশে একটি মোটরসাইকেল রাখা হয়েছিল। সেই মোটরসাইকেলেই ছিল বোমাটি।’

বিস্ফোরণের সময় ভ্যানটিতে ১০ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন উল্লেখ করে শাহওয়ানি বলেন, ‘দু’জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। তাদের মধ্যে ৪ জন সাধারণ পথচারীও আহত হয়েছেন।’

এ ঘটনার দায় স্বীকার করে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যক্তি বা সংগঠন বিবৃতি দেয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বেলুচিস্তানের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ জন্য দায়ী।

শাহওয়ানি জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল ও তার আশপাশের এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে এবং অভিযুক্তদের শনাক্ত ও গ্রেফতারে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।

কোয়েটা পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ সদস্য বলেছেন, আহতদের শহরের সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিস্ফোরণের ফলে দরজা-জানালার কাঁচ ভেঙে পড়া ছাড়া হোটেলটির তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। হোটেলটিতে অবস্থানরত কোনো ব্যক্তিও আহত হননি।

বোমা বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়ে রবিবার এক বিবৃতিতে বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা রাজ্যের শান্তি বিনষ্ট করতে চায়। এ কারণে হামলা চালিয়েছে তারা। আমরা কোনোভাবেই তাদের এই ঘৃণ্য পরিকল্পনা সফল হতে দেব না।’

পাকিস্তানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রধান বিরোধীদলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ এবং বিরোধীদল পাকিস্তান পিপলস পার্টির নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি ইতোমধ্যে কোয়েটা সফর করেছেন। হামলার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ বেলুচিস্তানে বহুবছর ধরে স্বাধীনতা আন্দোলন চলছে। এই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের বিচ্ছিন্নতাবাদী হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটির সরকার। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর রোষানল ও দমন-পীড়নেরও স্বীকার হচ্ছেন তারা।

এর ফলে গুপ্ত হামলার পথ বেছে নিয়েছেন স্বাধীনতাপন্থীরা। মাস তিনেক আগে এই সিরিনা হোটেলেরই পার্কিং লটে এক বোমা হামলায় ৫ জন নিহত হয়েছিলেন। আহত হয়েছিলেন আরও অনেকে। চীনের একজন রাষ্ট্রদূত সেসময় অবস্থান করছিলেন হোটেলটিতে। তাকে লক্ষ্য করেই হামলা করা হয়েছিল।  তবে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যান তিনি।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

প্রিন্ট

আরও খবর