খুলনা | শুক্রবার | ০৩ মে ২০২৪ | ২০ বৈশাখ ১৪৩১

করোনার ভুয়া টিকা নিয়ে প্রতারিত কলকাতার সংসদ সদস্য মিমি

খবর প্রতিবেদন |
১২:৩৮ এ.এম | ২৪ জুন ২০২১

তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের উৎসাহ দিতে মঙ্গলবার কসবায় গিয়ে সেখানকার বুথ থেকে করোনা প্রতিষেধকের টিকা কোভিশিল্ড-এর প্রথম ডোজ নেন ওপার বাংলার অভিনেত্রী ও যাদবপুরের সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। কিন্তু টিকা নেয়ার পর তিনি খেয়াল করেন, তার মুঠোফোনে প্রতিষেধক প্রাপ্তি সংক্রান্ত কোনো তথ্য আসছে না।
মিমি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘প্রতিষেধক নেয়ার পর আমি টিকাদান বুথের উদ্যোক্তাদের কাছে প্রশংসাপত্র চেয়েছিলাম। তারা জানান, কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার মুঠোফোনে প্রতিষেধক নেয়ার প্রশংসাপত্র এসে যাবে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও প্রশংসাপত্র না পাওয়ায় বুথের কর্মীদের প্রশ্ন করেন মিমির সহকারী। তারা কোনো সদুত্তর দিতে না পারায় মিমি যোগাযোগ করেন কসবা থানায়। এর পরই তৎপর হয় প্রশাসন। বন্ধ করে দেয়া হয় টিকা দেয়ার বুথ। মিমি জানান, এই শিবির এক দিনের ছিল না। গত ১০ দিন ধরে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে এভাবেই টিকা দেয়া হচ্ছিল। এত দিন ধরে যত জন টিকা নিয়েছেন, কেউই প্রশংসাপত্র পাননি। এই ঘটনায় তারকা সাংসদ যথেষ্ট হতাশ এবং ক্ষুব্ধ। খোদ কলকাতার বুকে এভাবে করোনার টিকা জালিয়াতি চক্রের রমরমা দেখে হতবাক মিমি।
একই সঙ্গে অভিনেত্রী সজাগ করেছেন সমস্ত শহরবাসীকে। পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন, আদৌ এই কোভিশিল্ড টিকা কি যথার্থ? কোভিশিল্ডের নাম করে অন্য কোনো ওষুধ মানুষের শরীরে প্রবেশ করানো হচ্ছে কিনা, তা নিয়েও যথেষ্ট সংশয় জেগেছে তার মনে।
মিমি থানায় যে অভিযোগ জানিয়েছেন তা থেকে জানা যায়, দেবাঞ্জন দেব নামে এক ব্যক্তি টিকাদান ও বুথের আয়োজক। যিনি নিজেকে আইএএস অফিসার এবং কলকাতা পুরসভার যুগ্ম-কমিশনার হিসেবে ভুয়া পরিচয় দেন। তিনি প্রচার করেন, কলকাতা পুরসভা এই শিবিরের আয়োজক।
পরে কসবা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখে, গত ১০ দিন ধরে স্থানীয় ইউকো ব্যাংক বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় ওই টিকাদান বুথ চালাচ্ছিলেন দেবাঞ্জন। তদন্তের স্বার্থে প্রশাসন ইতোমধ্যেই বাজেয়াপ্ত করেছে তার ভুয়া পরিচয়পত্র, কলকাতা পুরসভার নকল শিলমোহর, কাগজপত্র, অভিযুক্তের ব্যবহৃত টয়োটা গাড়ি।
জানা গেছে, নিজের প্রকৃত পরিচয় গোপন রাখতে ওই টয়োটা গাড়িটিতে নীল বাতি, সরকারি পতাকাও ব্যবহার করতেন দেবাঞ্জন। গাড়ির পেছনের কাচে লাগানো রাজ্য সরকারের বিশেষ স্টিকার। মিমির অভিযোগের পর বুধবার সকালে গ্রেফতার করা হয়েছে দেবাঞ্জন দেবকে। ঘটনার তদন্ত করছেন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ অফিসার একে হেমব্রম।
 

প্রিন্ট